ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া

109

স্টাফ রির্পোটারঃ
ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় পুরানা পল্টনস্থ ভোজন রেস্তোরাঁয় এক আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য এম. এ. আউয়াল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব ও সাবেক পি.পি এডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম খান।
ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির প্রচার সম্পাদক মাহমুূদ সালেহীন খানের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান ও মোঃ ওমর ফারুক প্রমূখ।

সভাপতির বক্তব্যে পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি এম. এ. আউয়াল বলেন, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি একটি শক্তিশালী ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে খুব দ্রুত বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। মহানবী সা: মদিনা সনদের মাধ্যমে আমাদেরকে ইসলামি রাজনীতির যে দিক নির্দেশনা দেখিয়ে দিয়েছেন সেই মূলনীতি ও আদর্শ কে সামনে রেখেই আমরা এদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে উঠবো ইনশাল্লাহ।
ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: এর ওপর ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মতো আমাদের হৃদয়েও রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা দাবি করছি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত কে ডেকে বাংলাদেশের মুসলমানদের সেন্টিমেন্টকে জানান দেওয়া এবং ভবিষ্যতে এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য হুশিয়ারি করে দেওয়া উচিত।
এম. এ. আউয়াল আরও বলেন, আমাদের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধের চর্চা কমে গেছে তাই আমরা নানা রকম দূর্ণীতি এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছি।
পার্টির মহাসচিব এডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম খান তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, মহানবী (সাঃ) বিশ্ব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও সফল রাষ্ট্র নায়ক। প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বেই মহানবী (সাঃ) গণ-সম্মতি, গণ-অধিকার ও গণ-কল্যাণ ভিত্তিক আদর্শ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ইসলাম যেহেতু একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, তাই ইসলামের অনুসারীদের কোনো মতবাদ বা ইজম অন্য কারো কাছ থেকে ধার করার প্রয়োজনই নাই। একটি রাষ্ট্রের সরকার ও জনগণ আল্লাহ্‌র কিতাব ও রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুযায়ী চলবে এটাই আল্লাহপাকের সুস্পষ্ট নির্দেশ।
অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মন্জুরুল হক।